নতুন নেতৃত্ব খুঁজে পেতে বিসিবি তাই এখন খুবই সতর্ক এবং চিন্তাভাবনা করছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। অবশেষে বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করলো বিসিবি। মিরাজের প্রতি বিসিবির আস্থা তৈরি হয়েছে তার স্থির পারফরম্যান্স, দৃঢ় নেতৃত্বগুণ এবং মাঠে কৌশলগত চিন্তাভাবনার জন্য। কিন্তু সেই তুলনায় শান্তর নেই। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং বিপিএলের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা তাকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। মিরাজের মধ্যে বিসিবি ভবিষ্যৎ দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি দেখছেন বিসিবিসহ গোটা দেশের ক্রিকেটভক্তরা, বিশেষত যখন দলের স্থায়ীত্ব এবং মানসিকতা পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভব করছে তারা। এদিক থেকে অধিনায়ক হবার দৌড়ে মিরাজ অনেক এগিয়ে আছেন।
ছোট ফর্মেটর ক্ষেত্রে তাওহীদ হৃদয়কে এগিয়ে রাখছেন অধিনায়ক হিসেবে। চাপের মধ্যে ভালো ব্যাটিং করতে পারেন তিনি। সবার মন কড়েছেন ভালো পারফর্ম করে। তারুণ্যের উদ্দীপনা ও আক্রমণাত্মক মনোভাব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে বিসিবি। এর বিপরীতে, তাসকিনকে নিয়ে সতর্ক থাকা হচ্ছে তার ইনজুরি ঝুঁকি এবং ফিটনেসের কারণে, যেহেতু তাকে সব ফরম্যাটেই প্রয়োজন, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে।
বিসিবি মনে করছেন যে তাদের এই সিদ্ধান্ত দলের ঐক্যবদ্ধ করবে যা দলের জন্য অনেক ভালো হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের বাইরে নেতাদের মধ্যে কিছু মতবিরোধ তৈরি হয়েছে, যা খেলোয়াড়দের মনোবলে প্রভাব ফেলছে। তাই, বোর্ড একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায়, যেখানে নতুন অধিনায়কের অধীনে সব খেলোয়াড় একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং ভবিষ্যৎ সাফল্যের লক্ষ্যে দল হিসেবে এগিয়ে যাবেন।
মোট কথা এখন সিদ্ধান্ত যাই নেয় না কেন, এটি দলকে নতুন দৃষ্টিকোণ এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব দেবে, যা প্রয়োজনীয় এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা ঘটাবে বলে আশাবাদী বিসিবি।